মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) হোয়াইট হাউসের রোজ গার্ডেনে টার্কি দুটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা করেন তিনি। ফলে প্রথা অনুযায়ী, এই দুটি পাখি এখন আর কারও খাবারের টেবিলে যাবে না।

১৯৮৯ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ এই প্রথা চালু করেছিলেন। 

এবারের অনুষ্ঠানে ট্রাম্প তার স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি। তিনি বলেন, শুরুতে তিনি টার্কি দুটির নাম 'চাক' ও 'ন্যান্সি' রাখতে চেয়েছিলেন ডেমোক্র্যাট নেতা চাক শুমার ও ন্যান্সি পেলোসির নাম অনুসারে।

ট্রাম্প রসিকতা করে বলেন, 'টার্কি দুটিকে আমি ক্ষমা করছি, কিন্তু ওই দুজনকে (চাক ও ন্যান্সি) আমি কখনো ক্ষমা করব না।'

প্রায় ৫০ পাউন্ড ওজনের এই টার্কি দুটো নর্থ ক্যারোলাইনার একটি খামারে বড় করা হয়েছে এবং হোয়াইট হাউসে আসার আগে বিলাসবহুল উইলার্ড ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে রাখা হয়েছিল। ন্যাশনাল টার্কি ফেডারেশন জানিয়েছে, ক্ষমা পাওয়া টার্কি দুটি এখন নর্থ ক্যারোলাইনা স্টেট ইউনিভার্সিটির এগ্রিকালচার কলেজে বাকি জীবন কাটাবে।

ট্রাম্পের রাজনৈতিক ক্ষমার হিসাবও উল্লেখযোগ্য। দ্বিতীয় মেয়াদে এসে তিনি এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৬০০-এর বেশি মানুষকে ক্ষমা করেছেন, যার মধ্যে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিল হামলায় জড়িত প্রায় দেড় হাজার ব্যক্তি এবং ২০২০ সালের নির্বাচনের ফল পাল্টে দেওয়ার চেষ্টায় তার সহযোগীরাও রয়েছেন।

এই অনুষ্ঠানে ট্রাম্প সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ক্ষমা করা দুটি টার্কি 'পিচ' ও 'ব্লসম'-কেও পুনরায় ক্ষমা করেন। তাঁর অদ্ভুত দাবি, বাইডেন অটোমেটেড বা স্বয়ংক্রিয় সই করার যন্ত্র ব্যবহার করায় ওই ক্ষমা 'অবৈধ' ছিল।

আগামী বছর যুক্তরাষ্ট্রে মধ্যবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দেশটির গণমাধ্যমগুলোতে এখন জীবনযাত্রার ব্যয় নিয়ে জোর আলোচনা চলছে। এ প্রসঙ্গে ট্রাম্প দাবি করেন, এবার থ্যাংকসগিভিংয়ের খরচ কমেছে। ওয়ালমার্টের একটি প্রতিবেদনের বরাতে তিনি দাবি করেন, গত বছরের চেয়ে খাবারের খরচ ২৫ শতাংশ কমেছে। যদিও আমেরিকান ফার্ম ব্যুরো ফেডারেশনের জরিপ বলছে, খরচ কমেছে মাত্র ৫ শতাংশ।